1. admin@chandpurjomin.com : chadpuromin :
  2. editor@chandpurjomin.com : edtr :
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপিত

নিজ্বস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
  • আপডেটঃ শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৭ পড়েছেনঃ

খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপিত
সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বুযুর্গ হযরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

আজ (২৯ নভেম্বর) শুক্রবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরস্থ মারকাজুল খেলাফত জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় এ উপলক্ষে ধারাবাহিকভাবে পতাকা উত্তোলন, প্রতিনিধি সম্মেলন ও মজলিসে শুরার অধিবেশন (কেন্দ্রীয় কাউন্সিল) অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল সাড়ে আটটায় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে কালেমার পতাকা উত্তোলন করেন হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর খলীফা মাওলানা ইসমাঈল বরিশালী, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা শেখ আজীমউদ্দীন এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, সহযোগিতায় ছিলেন মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতী সুলতান মহিউদ্দীন। দলীয় তারানা পরিবেশন করেন প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী। খেলাফত যুব আন্দোলনের সভাপতি ক্বারী সিদ্দিকুর রহমানের কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচীর সূচনা ও দুআর মাধ্যমে তা সমাপ্ত হয়।

সকাল ৯ টায় খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর সভাপতিত্বে শুরু হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আগত নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ জেলা ও থানার সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন তুলে ধরেন এবং আগামী দিনে খেলাফত আন্দোলনের কাজকে আরও বেগবান করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইসমাইল বরিশালী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা শেখ আজীমউদ্দীন, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাইদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাজী জালালুদ্দীন বকুল, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, রোকনুজ্জামান রোকন, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী সাভার, এডভোকেট মো: লিটন চৌধুরী, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, মুফতী সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা ইলিয়াছ মাদারীপুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মোফাচ্ছির হোসাইন, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা আফম আকরাম হোসাইন, ডা. নিয়ামত আলী ফকির, মাওলানা বেলাল হোসাইন নোয়াখালী, মাওলানা আনোয়ারউল্লাহ ভুইয়া ফেনী, মুফতি আঃ আজিজ চট্টগ্রাম, মাওলানা শেখ সাদী নারায়ণগঞ্জ, হাকীম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ, হাফেজ মাওলানা মীজানুর রহমান ফরিদপুর, মাওলানা হাফিজুর রহমান সরদার গাইবান্ধা, মাওলানা তাজিরুল ইসলাম রংপুর, মাওলানা আঃআজিজ খোমেনী কুমিল্লা, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন ফরিদপুর, মাওলানা রশিদুল হক বিএসসি চট্টগ্রাম, মাওলানা আহমদ আলী ময়মনসিংহ, মুফতী মোশাররফ হোসেন নরসিংদী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শরীয়তপুর, মুক্তিযুদ্ধা ক্বারী মাসউদুল হক কিশোরগঞ্জ, মাওলানা গাজী ইউসুফ ফেনী, জয়নাল আবদীন ফেনী, এডভোকেট জয়নুল আবেদিন বকুল ফরিদপুর, মাওলানা আহমদ হোসেন কুয়েত শাখা, মোঃ শাহিন আলম ভোলা, মোঃ আল আমিন পটুয়াখালী, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ ময়মনসিংহ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস নড়াইল, মাওলানা শরীফ হুসাইন পীরজী হুজুর, মুফতি শফিকুল ইসলাম চাঁদপুর, রশিদুল হক বিএসসি চট্টগ্রাম, মাওলানা ইসমাইল লক্ষীপুর, মৌলভী আব্দুর রকিব নেত্রকোনা, মাওলানা এমদাদ উল্লাহ কক্সবাজার, মাওলানা হেলাল উদ্দিন খাগড়াছড়ি, মাওলানা মুফতি জুবায়ের বিন নুরুল্লাহ বরিশাল, মাওলানা আইনুল হক রাজশাহী, মাওলানা আশরাফুল আলম রংপুর, মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম নীলফামারী, মাওলানা আখতারুজ্জামান আশরাফী বি-বাড়িয়া, মাওলানা আবুল হাসান কাসেমী, যুবনেতা মুফতি আল আমিন, ছাত্রনেতা হাফেজ জাকির বিল্লাহ, খাইরুল ইসলাম নরসিংদী, মাওলানা হাকিম মামুনুর রশিদ ফেনী প্রমূখ।

বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হয় মজলিসে শুরার অধিবেশন (কেন্দ্রীয় কাউন্সিল)। মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুরার অধিবেশনে উপস্থিত শুরা সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীকে আমীরে শরীয়ত এবং মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীকে মহাসচিব পুননির্বাচন করা হয়।

মজলিসের শুরার অধিবেশন থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি জানিয়ে বলা হয়, বর্তমান সরকার অনেক কিছুর সাথে সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগও নিয়েছে। শোনা যাচ্ছে সংবিধান থেকে একটি মহল বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উঠিয়ে দিতে চাচ্ছে যা আমরা কখনো মেনে নিব না। সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুন:স্থাপন করতে হবে এবং বিদ্যমান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাসহ কুরআন-সুন্নাহবিরোধী সকল ধারা-উপধারা বাদ দিতে হবে। নতুন করে সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনকিছু সংযোজন করা যাবে না।

বৈঠক থেকে আরও বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে ইসকনের লোকেরা একজন মুসলিম আইনজীবিকে দিনেদুপুরে হত্যা করে প্রমাণ করেছে তারা এদেশের আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। ভারতের ইন্ধনে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অবিলম্বে তাদের অপতৎপরতা বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
All Rights Reserved ©2024
Theme Customized By LiveTV