গত ৯ জুন রাউজানের ইয়াছিননগরের প্রবাসী আব্দুল কাদেরের ঘর থেকে লুঠে নেয়ার ঘটনায় পুলিশ মালামালসহ জড়িত চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের হাতে আটক চারজন হচ্ছে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন (৪৩), নোয়াখালী বেগমগঞ্জের মৃত শাহ আলমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন(৩৪), সন্দ্বীপ থানার মৃত ডাঃ রফিকুল মাওলার ছেলে মো. সোহাগ(৩৮), নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার মৃত মোঃ আবুল কালামের ছেলে মো. আবুল কাশেম ওরফে বাঁচা(৩২)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র চট্টগ্রাম উপপরিদর্শক মো. কামাল আব্বাস বলেছেন প্রবাসীর ঘর চুরির ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণাংকারসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুসারে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার কর্নেলহাটস্থ শতাব্দি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী সুকুমার ধরের কাছ থেকে ০৫ ভরি স্বর্ণালংকার, আসামী আবুল কাশেম ওরফে বাচার কাছ থেকে ০২টি ডিজিটাল ক্যামেরা, ১টি পালসার মোটর সাইকেল, আসামী হেলাল উদ্দিনের কাছ থেকে ০১টি Apache RTR 160
১৬০ মোটরসাইকেলসহ চোরাইকাজে ব্যবহৃত ০১ টি সিএনজি অটোরিকশা, আসামী সোহাগের কাছ থেকে চোরাইকৃত ০১টি নোকিয়া মডেলের বাটন মোবাইল সেট, আসামী আবুল কাশেম ও সোহাগের দেখানো ও সনাক্তমতে হাটহাজারী উপজেলার বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মীরা জুয়েলার্সের মালিক বাপন বনিকের কাছ থেকে ০৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া আসামীদের কাছ থেকে ১টি ডিভিআর, স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা গচ্ছিত রাখার সিন্দুক এবং তালা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য ৯ জুন ওই প্রবাসীর একটি দাওয়াতে স্বপরিবারের ঘরে তালা দিয়ে গিয়েছিলেন। সংঘবদ্ধ চোরচক্র ঘরের সিসি ক্যামেরা ভেঙে ঘরের মালামাল চুরির করে নিয়ে যায়। পরদিন প্রবাসী আবদুল কাদের থানায় মামলা করে।
পরে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিআইবি। ওই ঘটনায় প্রবাসী তার ঘরের আলমিরা, সিন্দুক ও ওয়ারড্রপের তালা ভেঙে ৫৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল চুরি হয় বলে জানিয়েছিলেন। পিআইবির পক্ষে জানানো হয় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বায়েজীদ বোস্তামী, হাটহাজারী, মীরসরাই থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় হয়েছে।